মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার :: করোনাকালীন সময়ে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। কক্সবাজার জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের মার্কেট গুলোতেও বেশ জমে উঠেছে ঈদ বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্যকরা যাচ্ছে। এতে বেশ বিক্রিও বেশ ভাল হচ্ছে বলে জানান দোকান মালিকরা।একই সাথে লকডাউন বা ঢাকাতে পাইকারী মার্কেট গুলো খুল না থাকার কারনে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় চোপড় দিতে পারছেনা বলে জানান দোকান মালিকরা।
কক্সবাজার শহরের পানবাজার সড়ক,সুপার মার্কেট,ছালাম মার্কেট সহ বেশ কিছু মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা গেছে,ঈদ বাজার করার জন্য সকাল থেকে ভীড় লেড়ে থাকে ক্রেতাদের। ক্রেতাদের মধ্যে বেশি ভাগই মহিলা বলে জানান দোকান মালিকরা। তাদের মতে বেশির ভাগই শিশুদের জন্য কাপড়,জুতা বা অন্যান্য সামগ্রি কিনতে আসছে। একই সাথে মহিলাদের থ্রিপিস,শাড়ী,জুতা,সেন্ডেল সহ সহ কিছু বেশ ভালই বিক্রি হচ্ছে। নি¤œ বিত্ত থেকে মধ্যবিত্ব,উচ্চ বিত্ব সবাই আসছে মার্কেটে। প্রথম দিকে ক্রেতা একটু কম থাকলেও রোজা ২০ টার পরে বেশ জমে উঠেছে ঈদ বাজার।
বুধবার বেলা ১২ টার দিকে শহরের পানবাজার সড়কে পিএমখালীর মনোয়ারা বেগম নামের এক ক্রেতার সাথে আলাপ কালে তিনি জানান,করোনার ভয় আছে তবুও ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে এসেছি কারন বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়ে আছে তারা বুঝতে চায়না। তাছাড়া কিছুদিন আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি তাই মেয়ের শশুর বাড়িতে কাপড় চোপড় দিতে হবে সে জন্য মার্কেটে এসেছি।
তিনি জানান,মার্কেটে বর্তমানে বেশির ভাগই গত বছরের কাপড় নতুন কোন কাপড় দেখা যাচ্ছেনা। এছাড়া দামও অনেক বেশি। এ সময় খুরুশকুল থেকে আসা সমিরা বেগম জানান,আমার বাড়ির আশেপাশে যারা আছে তারা শিশুদের জন্য অনেক আগেই মার্কেটিং করে দিয়ে গেছে সেটা আমার বাচ্চারা শুনেছে তাই ঘরে বাচ্চারা বেশি বিরক্ত করছে বলে বাধ্যহয়ে আসতে হলো। এখন বাচ্চাদের জন্য কিছু কিনছি সাথে নিজেদের জন্য কিছুকিনার জন্য আসছি।
আসলে ঈদ হচ্ছে আমাদের সব চেয়ে বড় উৎসবের দিন এই দিনে নতুন কাপড় না পড়লে ভাল লাগেনা বিশেষ করে ঘরের বাচ্চাদের গায়ে নতুন কাপড় না দেখলে খুব খারাপ লাগবে তাই মার্কেটে এসেছি। এখানে এসে দেখছি মার্কেটে পা রাখার জাইগা নেই গ্রাম গঞ্জ থেকে মানুষ মার্কেটিং করতে এসেছে।
এদিকে রামু,মহেশখালী চকরিয়াতেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে এভাবে মার্কেটিং না করলেও পারতো তবে মানুষ তা বুঝতে চায়না। এই সুযোগে দোকান মালিকরাও প্রত্যেকটি পণ্যের দাম কয়েক গুন বাড়িয়ে নিচ্ছে। এছাড়া সরকারি ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কিছু নিয়ম করে দিলেও মার্কেট গুলোতে তার কোন বালাই নেই। যে মাস্কপড়া, ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাউজার ব্যবহার করা সহ কিছু মার্কেট কতৃপক্ষ করার কথা কিন্তু তারা কিছুই করছেনা। তবে বেশ জমে উঠেছে ঈদ বাজার।
এদিকে কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল বলেন,করোনাকালীন সময়ে জেলা প্রত্যেক মার্কেটে ক্রেতাদের জন্য সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমার জানা মতে সবাই মানছে হইতো কিছু জায়গায় ব্যাতিক্রম হচ্ছে। তবে একটা বিষয় আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু ক্রেতা আছে যারা গ্রাম থেকে আসছে তারা করোনা সংক্রামণ বিষয়টি মানতে রাজিনা। তাদের সচেতন করা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে এদিকে ক্রেতাদের সাথে খারাপ ব্যবহারও করা যাচ্ছেনা। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে ঈদ বাজার জমে উঠেছেবলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: